বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেছেন, একটি রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
“ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে নির্ধারিত সময়সীমা ঘোষণার পর থেকেই কিছু মহল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। যারা এমন প্রচেষ্টা করবে, জনগণ তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে। এই দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু কোনোদিন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনো ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়নি। সংবিধানেও ধর্মের ভিত্তিতে কোনো ভেদাভেদ নেই। প্রত্যেক নাগরিক নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার অধিকার রাখে এবং সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্ম ব্যবহার অনৈতিক
সনাতন সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “অতীতে একটি দল আপনাদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মকে কাজে লাগানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের নীতি স্পষ্ট—ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। নিরাপত্তা ও অধিকার সবার।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান, বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রচারণার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং জাতীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে।


Leave a Reply