তিন দফা দাবি পূরণের দাবিতে রাজধানীর রাজপথ ছাড়ছেন না বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তিন দফা দাবিতে অবিরত আন্দোলন

তিন দফা দাবিতে অবিরত আন্দোলন
সন্ধ্যার পরও সড়কে অবস্থানরত শিক্ষকরা


মঙ্গলবার (১৪ই অক্টোবর) বিকেল থেকে শুরু হওয়া তাদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পুলিশের বাধায় আটকে গেলে হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনের সড়কেই অবস্থান নেন তারা। তিন দফা দাবিতে অবিরত আন্দোলন
এদিন বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন হাজার হাজার শিক্ষক। কিন্তু মিছিলটি হাইকোর্টের মাজার গেটের কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর সেখানেই বসে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তারা। শিক্ষকদের এই অবস্থানের কারণে প্রেসক্লাব থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সাধারণ যাত্রী ও অফিস ফেরত চাকরিজীবীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
আন্দোলনে অংশ নিতে আসা ফাজিল মাদরাসার এক আরবি প্রভাষক বলেন, আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি ভাবেই হয়, অথচ আমরা বদলির মতো সাধারণ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। একজন শিক্ষকের বাড়ি টাঙ্গাইল হলেও তাকে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করতে হয়। এর জন্য বাসা ভাড়া বাবদ মাত্র এক হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয়, যা এই সময়ে হাস্যকর। তিনি আরও জানান, দেশব্যাপী তাদের কর্মবিরতি চলছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

তিন দফা দাবিতে অবিরত আন্দোলন

শিক্ষকদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আরেক শিক্ষক বলেন, এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন শিক্ষক এক হাজার টাকায় কীভাবে বাসা ভাড়া দেবেন? চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় মাত্র ৫০০ টাকা। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং মৌলিক। আমরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাসা ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা চাই। ইসরাইলকে সহায়তা করায় গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড 
শিক্ষক নেতারা আরও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান, মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায়, আগামীকাল বুধবার (১৫ই অক্টোবর) থেকে এই আন্দোলন জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে রূপান্তরিত হবে। তারা বলেন, ইতিমধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে।

তিন দফা দাবিতে অবিরত আন্দোলন


রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, আমরা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান আসবে এবং তারা দ্রুতই ফিরে যাবেন।