অনিয়মের অভিযোগে বিতর্কিত ডাকসু নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ সকাল ১১টা পর্যন্ত নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, নির্বাচনে সুষ্ঠুতা ও স্বচ্ছতার অভাব প্রকট।
এজেন্টদের বাধা ও সুবিধার অভিযোগ
প্রার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবার কিছু ক্ষেত্রে এজেন্টদের ঢুকতে দিলেও পরবর্তীতে বের করে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে, কিছু প্রার্থীর এজেন্টদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ব্যালটে চিহ্ন ও ভোট জালিয়াতি
কিছু ব্যালটে আগেই চিহ্ন মারা অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা সরাসরি ভোট জালিয়াতির ইঙ্গিত দেয়। প্রার্থীরা মনে করছেন, এটি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন সংকট?
অনেক শিক্ষার্থীর মন্তব্য, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার আমলে যে ধরনের বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনও তার থেকে আলাদা নয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য অশনি সংকেত
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন—যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে?
ডাকসু নির্বাচন সবসময়ই দেশের ছাত্ররাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। কিন্তু যদি এই অনিয়মগুলো অব্যাহত থাকে, তবে এটি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও শঙ্কা তৈরি করবে।





Leave a Reply